নিউজ ডেস্ক : সারা বিশ্বের সাথে এটাই হয়তো আমাদের মূল পার্থক্য। করোনা সংক্রমনের ঢেউ ফের একবার সারাবিশ্ব সহ ভারত কে আক্রমণ করেছে।
নতুন করে বিভিন্ন দেশে লকডাউন এর ঘোষণা করেছে সেখানকার সরকার। সেখানকার মানুষ করোনা বিধি যেভাবে মেনে চলছেন আমরা তার কানাকড়িও করছি না।
আমাদের দেশেও দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যা টা বেশ অনেকটাই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দোল বা হোলি উদযাপনের জন্য নির্দেশিকা এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও শহর কলকাতায় বেশ কিছু জায়গায় ধুমধাম করে পালন হল দোল উৎসব।
কচিকাচাদের সাথে মেতেছিলেন তাদের মায়েরাও। দেখে কোনভাবেই মনে হচ্ছিল না যে করোনার কোন প্রকোপ রাজ্যে পড়েছে।
আমাদের দেশেও দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যা টা বেশ অনেকটাই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দোল বা হোলি উদযাপনের জন্য নির্দেশিকা এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও শহর কলকাতায় বেশ কিছু জায়গায় ধুমধাম করে পালন হল দোল উৎসব।
হলো প্রভাতফেরি, নাচে-গানে ভরে গেল বিভিন্ন ক্লাবের মাঠ। প্রভাত ফেরীতে অংশগ্রহণ করা ছোট ছোট নৃত্যশিল্পীদের মুখে ছিল না কোন মাস্ক, ছিল না শারীরিক দূরত্ব।
এমনই অবস্থা দেখা গেল দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার প্রগতি সংঘ ক্লাবের বসন্ত উৎসব পালনের অনুষ্ঠানে।
কচিকাচাদের সাথে মেতেছিলেন তাদের মায়েরাও। দেখে কোনভাবেই মনে হচ্ছিল না যে করোনার কোন প্রকোপ রাজ্যে পড়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে এই রকম অনুষ্ঠান সত্যিই প্রশাসনের কার্য ক্ষমতার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে ।
এক এলাকাবাসীর কথায় সংঘের পক্ষ থেকে প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠান ও তার ব্যাতিক্রম নয়। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এই রকম অনুষ্ঠান করা কি সত্যিই দরকার ছিল। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বাচ্চাদের মধ্যে কেউ যদি করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে দায়িত্ব কে নেবে?
সংঘের এক সদস্য নির্ভীক উত্তর নির্দেশিকা তো থাকেই কিন্তু কজনইবা মানে। একটা অনুষ্ঠান চলছে সেটা কে হতে দেওয়াই ভালো।
এইভাবে প্রশাসনের সতর্কবার্তার দিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নিজেদের বিপদ বাড়িয়ে আনছি কি আমরাই ?
0 Comments