নিউজ ডেস্ক: করোনা আবহে মানুষ কাজ হারিয়েছে। বহু মানুষের কাজ চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। আবার অনেক সমাজ কল্যাণমূলক কাজে বাধাও এসেছে। রামকৃষ্ণ মিশনের মত প্রতিষ্ঠানও বাদ যায়নি এই সূচিতে। কলকাতার নিউটাউনে ৫ একর জমি ওপরে তারা শুরু করেছিলেন "সেন্টার ফর হিউম্যান এক্সেলেন্স অ্যান্ড সোশ্যাল সাইন্স" এর কর্মযজ্ঞ। স্বামী বিবেকানন্দের মতাদর্শে গঠিত এই প্রতিষ্ঠান "বিবেক তীর্থ" নামে পরিচিত হয়ে উঠছিল। ঠিক তখনই ভারত বর্ষ তথা সারা বিশ্বে থাবা বসালো করোনা।
এই সমাজ কল্যাণমূলক সংস্থানে :বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফ কম্পাস ক্যাম্পাস' এখানে যেমন ভাষা শিক্ষার স্কুল, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ও ডিজিটাল লাইব্রেরি, সিটিজেনশিপ ট্রেনিং, অডিটোরিয়াম থাকছে। তেমনি থাকছে ভ্যালু বেইসড এডুকেশন এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও। যার আনুমানিক খরচ ১৭৪ কোটি টাকা বলে জানালেন স্বামী বিশ্বকানন্দজী মহারাজ। এক ভিডিও স্টেটমেন্টে তিনি আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
তিনি জানালেন, ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কুড়ি কোটি টাকার অনুদানের পাশাপাশি টিসিএস, ইন্ডিয়ান অয়েল, ইনফোসিস, হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস সহ বহু নামি সংস্থান এই কাজে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে তাদের মূল খরচে পৌঁছতে এখনো ৮০ কোটি টাকার প্রয়োজন। স্বামী বিশ্বকানন্দজী মহারাজ সাধারণ মানুষের কাছে কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য অনুদান আশা করেন।
মহারাজ তার ভিডিও ভাষণে বলেন, স্বামীজি চেয়েছিলেন সত্যিকারে মানুষ গড়তে, যুবসমাজকে পথ দেখাতে। যাতে নারী-পুরুষ সবাই শক্তিশালী ও উৎসাহী তৈরি হয়ে দেশের শক্তিশালী মেরুদন্ড রুপে কাজ করতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, রামকৃষ্ণ মিশন সারাদেশব্যাপী এমনকি দেশের বাইরেও বিভিন্ন সেবামূলক কাজ কর্মের সাথে যুক্ত যুক্ত আছে। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি স্বার্থহীন ভাবে দেশের জন্য কাজ করে চলেছে।
আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের অন্যতম অনুগামী মনোজ বর্মন, এর 'ওডিসি' এর সিএমডি অজয় গ্রোভার, 'আর্কিটেক্ট' এর সুনীল মনিরামকা।
0 Comments