আমরা আমাদের এনজিও-তে অর্থাৎ "আলো অফ লাইফের" হাত ধরে প্রতিনিয়ত দেখি বিভিন্ন মানুষের সুখ - দুঃখের , চড়াই - উতরাই,সব মানুষের দুঃখের লড়াইয়ের গল্প।তাই "আলো অফ লাইফের সদস্যরা অনেক লড়াই করে এগিয়ে আসে সমাজের নানা স্তরের মানুষের কাছে। তাঁরা এগিয়ে আসেন দুঃস্থ ছেলে-মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে। কেউ দেন পড়াশোনার সাহায্য, কেউ দেন স্নেহ, কেউ দেন কেবল একটি সহানুভূতির হাত।
আজ আমরা কথা বলছি এমনই এক পরিবারের কথা — যারা সব ঋতুতে, সব উৎসবে, সব কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেদের কাজ থামান না। সব ঋতুতে,সব বিপদে, কিছুই তাঁদের মানবিক পথ রোধ করতে পারে না।
একটা কথা আছে, “মানুষ তেলে মাথায় তেল দেয়,” কিন্তু সবাই তো সেইরকম নয়। এই পরিবারটি তার উল্টো প্রমাণ—নিজেদের সামর্থ্য মতো সমাজের পাশে, মানুষের পাশে থেকে তাঁরা দেখিয়েছেন প্রকৃত মানবতার পথ।
এই মহান কাজের পেছনে আছেন এক অসাধারণ পরিবার—টুম্পা পাল ও নারায়ন পাল, যাঁরা তাঁদের সন্তানদের মধ্যে মানবতার বীজ বপন করেছেন ছোটবেলা থেকেই। তাঁদের সুযোগ্য কন্যা লিজা পাল, যিনি একজন উচ্চ শিক্ষিতা তরুণী, কিন্তু শুধুমাত্র কর্মজীবনে নয়, মানব সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
শুধু লিজাই নয়, তাঁর ভাই রোহন পালও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিবারের সঙ্গে সমানভাবে মানুষের সেবায় নিজেকে যুক্ত করেছেন।
এই পরিবারের বিশ্বাস শিক্ষা তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তা সমাজের কল্যাণে ব্যবহার হয়।
এই পরিবার যারা (ঠিকানা: সূর্য্য সেন পল্লী, ব্যারাকপুর, শিউলি তেলিনি পাড়ার, চক কাঁঠালিয়া [সিটি], শিউলি তেলিনি পাড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ – ৭০০১২১; অন্তর্গত ও সমাজসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন,নিঃশব্দে,প্রচার বিমুখ হয়ে।
এই পরিবার আজও প্রমাণ করে চলেছেন যে মানবতার কোনো সীমা নেই।
এই বার তাঁরা দুঃস্থ শিশু ,পথ শিশু,বৃদ্ধাশ্রমের সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ট্যাক্সি ড্রাইভার শম্ভু রায়-এর দিকেও—যিনি একদিন গাড়িতে টাকা ভর্তি ব্যাগ পেয়ে কোনো লোভ না করে থানায় জমা দিয়েছিলেন এবং তাঁর সততার জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
আজ, যখন তাঁর কাজ নেই, জীবিকা অনিশ্চিত, তখন এই পরিবার তাঁর হাতে তুলে দিল খাদ্য, বস্ত্র, ওষুধ, ফল এবং কিছু আর্থিক সহায়তা।
আমরা তাঁদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
এই পরিবার সমাজের প্রকৃত কর্মী হিসেবে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠুক—এই আমাদের আন্তরিক প্রার্থনা ও শ্রদ্ধা।


0 Comments