নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বর্তমান কঠিন সময়ের মধ্যে অতিবাহিত হওয়া সামাজিক জীবনের ওপর কু-প্রভাব থেকে মুক্তি চাইছেন সকলেই। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এর প্রভাব সবচাইতে বেশি। অতিমারির কবলে পড়ে প্রাণহানি কমাতে কিংবা শারীরিক অবস্থার অবনতিতে চিকিৎসাকেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে অ্যাম্বুলেন্স-এর বিকল্প নেই।।
কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা আক্ষরিক অর্থে কম। সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ বহুদিন থেকেই কাজ করে আসছে এবং সেই প্রয়াসে তাদের কর্মসূচিতে যুক্ত হল আরও একটি মহৎ কর্ম। অত্যাধুনিক মোবাইল মেডিকেল ভ্যানের ব্যবস্থা করে আদ্যাপীঠ চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি গ্রামীণ এলাকায় সেই পরিষেবার দ্বার উন্মুক্ত করল।
বিষয়টির রূপায়ণের চিন্তাভাবনা করে আদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষ এস. বি. আই.লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে অনুরোধ জানিয়েছিল আধুনিক উপকরণ সম্বলিত মেডিকেল ভ্যানের ব্যবস্থা করতে। সেই মর্মে আদ্যাপীঠের ইতিহাস ও কার্যাবলিকে বিবেচনা করে এস.বি.আই. লাইফ ইনসিওরেন্স তাদের সি.এস. আর. ফান্ড থেকে একটি মেডিক্যাল ভ্যান প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়।।
৬ই সেপ্টেম্বর আদ্যাপীঠে এক অনুষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ভ্যানটির দ্বারোদ্ঘাটন করেন কোম্পানির এম.ডি. মহেশ কুমার শর্মা। উপস্থিত ছিলেন আদ্যাপীঠের সাধারণ সম্পাদক ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই, সহ-সম্পাদক ব্রহ্মচারী বিবেক ভাই, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট রবীন্দ্র কুমার, রিজিওনাল ডাইরেক্টর অশ্বিনী কুমার দত্ত, রিজিওনাল এইচ.আর. ম্যানেজার তানিয়া চন্দ্র সহ অন্যান্যরা।
মহেশ কুমার শর্মা তাঁর অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে আদ্যাপীঠের অনাথ বালিকাদের সাথে সময় কাটিয়ে মন্দিরের অন্যান্য স্থান পরিদর্শন করে খুশি হয়েছেন।
তিনি বলেন, কোম্পানি তাদের লভ্যাংশ থেকে দুই শতাংশ ব্যয় করে মূলত পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নতিতে। সেই সূত্রে তাদের সি.এস. আর. ফান্ড থেকে ১৯, ৫০, ৮৩৪ টাকা আদ্যাপীঠকে প্রদান করা হয় মেডিক্যাল ভ্যানটি কেনার জন্য। তিনি অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়েছেন আদ্যাপীঠের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই ও ব্রহ্মচারী বিবেক ভাই কোম্পানিকে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আগামী দিনে আদ্যাপীঠের ইতিহাসকে আরও উজ্জ্বল করতে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার কথা উল্লেখ করেন।
ছবি- সুবল সাহা
0 Comments