এখানেই শেষ নয়,কৃষ্ণেন্দুর ঝুলিতে রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে অভিনীত চিতা, সত্যমেব জয়তের মত প্রচুর সুপারহিট ছবিও।
কিন্তু জানেন কি,কৃষ্ণেন্দুর অভিনয় জগতের হাতেখড়ি হয়েছিল সাংবাদিক বিজয় রায়ের সান্নিধ্যে! মিলন ভৌমিকের ছবিতেই তার ডেবিউ। কৃষ্ণেন্দুর ছোটবেলা কেটেছে কাঁচরাপাড়া ভূত বাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। মাত্র দশ বারো বছর বয়সে অভিনয় জীবনে হাতে খড়ি হয়েছে তার। কৃষ্ণেন্দুর মামা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ভাঙ্গা গড়ার খেলা থিয়েটারের জন্য ওই সময় সুব্রতা চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য একজন শিশু শিল্পীর প্রয়োজন ছিল। পরবর্তী সময়ে সেই চরিত্রে অভিনয় করেন কৃষ্ণেন্দু। কেরিয়ারের শুরুটা থিয়েটার হলেও এরপর পড়াশোনা করতে করতে হঠাৎ ডাক কলকাতায় নাটকের জন্য আর সেখানেই বিজয় রায়ের সাথে পরিচয় সেন্ট থমাস স্কুলে সেখান থেকে ওনার বাড়িতে।। আর ওনার হাত ধরেই টলি পাড়ায় প্রথম পা রাখা।।
উনি প্রথম পরিচয় করিয়ে দেন মিলন ভৌমিক এর সাথে।। মিলন ভৌমিকের প্রথম ছবিতে অভিনয় করার পরে আর কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।।
কৃষ্ণেন্দু বাবু বলেন মিলন ভৌমিক সবসময় আমার পাশে থেকেছেন এখনও আছেন,বলতে গেলে আমি উনার ঘরের ছেলে,আমার মাথার উপরে ওনার হাত সবসময় আছে এবং থাকবেও।। উনি আমাকে সব চরিত্রে অভিনয় করতে শিখিয়েছেন।
আর একজনের কথা না বললেই নয় যদিও উনি এখন আমাদের মধ্যে শারীরিক ভাবে নেই কিন্তু যারা চেনেন তাদের মনের মধ্যে চিরকাল থেকে যাবে তিনি হলেন আজকালের ফটোগ্রাফার রনি রায়,আমি যখন স্ট্রাগল করছি তখন নানা রকমের ছবি তুলে দেওয়া যাতে আমি সব ডিরেক্টর আর প্রোডিউসার এর কাছে দিতে পারি আর সাহস যোগান।।
আমি হয়তো এত ভালো মানুষের সানিধ্যে পেয়েছি বা পেয়েছিলাম বলেই আজকে কাঁচড়াপাড়া ভূতবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব এর সেই ছেলেটা কলকাতায় এসে এরকম ভাবে কাজ করতে পারতাম না।।
সামনেই মিলন ভৌমিকের ছবি "OTP" মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সেই ছবিতে বশির খান নামে এক খল নায়কের চরিত্রে অভিনয় করছেন কৃষ্ণেন্দু। এছাড়াও মুক্তির অপেক্ষায় শুভঙ্কর ভৌমিকের "রাজ ঋষি কলি" ও"অর্জুন",ডিরেক্টর মিলন ভৌমিকের "বিবাদ", ডিরেক্টর তাপস দত্তের "গোলমাল আনলিমিটেড", ডিরেক্টর জয়ন্ত উপাধ্যায়ের "হরেকৃষ্ণ জুয়েলার্স", এমন ভাবে আগামী দিনে আরও ভালো ভালো কাজ দর্শকদের উপহার দিক অভিনেতা, রইলো তারই শুভেচ্ছা।
0 Comments