Header Ads Widget

Responsive Advertisement

"এখন আরণ্যক" ম্যাগাজিন ও হিডকোর সহযোগিতায় পালিত হল বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস


৩০শে জুলাই,২০২১ঃ ২৯শে জুলাই ছিল বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস। সেন্ট পিটার্সবার্গে টাইগার সামিটে ২০১০ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর ২৯ শে জুলাই দিনটি বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস রূপে পালিত হয়ে আসছে। বন্য জীবন ও প্রকৃতি নিয়ে বাংলাভাষায় অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ম্যাগাজিন "এখন আরণ্যক " দিনটি বিশেষ ভাবে উদযাপন করে।

নিউটাউনের নজরুল তীর্থে হিডকোর সহযোগিতায় উক্ত দিন তারা আয়োজন করে আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। রাজ্যের  নারী ও শিশু কল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রী ডা: শশী পাঁজা, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন,  চিত্রনির্মাতা ও সমাজকর্মী শতরূপা সান্যাল, রানী রাসমণি গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. আশুতোষ ঘোষ, পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী, কর্ণাটক ফরেস্ট বিভাগের প্রাক্তন অধিকর্তা সচিকান্ত চক্রবর্তী প্রমুখ ব্যক্তিত্ব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 


বাঘের নাম বলতেই ঘুরে ফিরে চলে আসে সুন্দরবনের কথা। বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সমূহের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিষয়ে সকলেই  আলোচনা করেন। ভারতের বিভিন্ন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও অভয়ারন্যে বাঘের সমস্যা-সমাধান নিয়ে আলোকপাত করেন উপাচার্য ড.আশুতোষ ঘোষ। তিনি সুন্দরবনের বাঘের বিপন্নতার জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগকে দায়ী করেন। তাঁর মতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ফলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়া এবং সে কারণে  প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধ্বংস হওয়া বনাঞ্চল বাঘেদের বাসস্থান সংকটের একটি প্রধান কারণ।


জীব বৈচিত্রের অসামঞ্জস্য ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সুন্দরবনের বনাঞ্চল হ্রাস পাওয়াতে লোকালয়ে বাঘের গতিবিধি বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন কারণে বাঘের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।  তিনি বলেন, ক্যামেরার সাহায্যে বর্তমানে যে বাঘসুমারি চলছে, তাতে করে সঠিক গণনা সম্ভব  নয়, যতদিন পর্যন্ত না বহু মাত্রায় ক্যামেরা বসানো যাবে। ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের ফলে বিপন্ন বনভূমিকে রক্ষা করতে সুন্দরবন উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে তৎপর হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। 

পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তথ্যমূলক প্রতিবেদন পেশ করেন। ম্যানগ্রোভ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, ইকো সিস্টেম সহ সুন্দরবনের জীবনযাত্রা ও বাঘের অস্তিত্ব বজায় রাখার বিভিন্ন সচেতনতার পরিসংখ্যান দিয়ে সার্বিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। 



এই দিন একটি ডিজিটাল আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে। আট জন বিশিষ্ট ওয়াইল্ডলাইফ চিত্রগ্রাহকের আলোকচিত্র প্রদর্শিত হওয়ার পাশাপাশি এক বিশেষ প্রদর্শনীতে এখন আরণ্যকের সারা বছরের কর্মকান্ডকে তুলে ধরা হয়। আলোকচিত্র শিল্পীদের হাতে মানপত্র তুলে দেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন। 


বিশিষ্ট চিত্র নির্মাতা তথা সমাজকর্মী শতরূপা সান্যাল বলেন, বাঘকে নিয়ে দিবস পালনের সার্থকতা আসবে সকলের সচেতনতার মধ্য দিয়ে।  সবুজ ধ্বংস ও প্রাণীদের জীবন বিপন্ন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আয়োজক সংস্থা "এখন আরণ্যক" ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা ডা: তন্ময় চৌধুরী বাঘের বিপন্নতার জন্য মানুষকেই দায়ী করেন। তাঁর মতে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদেরই উদ্যোগী হতে হবে জঙ্গলের বিচ্ছিন্নতা বন্ধ করে। সচেতনতা বৃদ্ধি  তৎসহ সরকারকেও এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

Post a Comment

0 Comments