প্রতিবেদক : "জানি না, যুদ্ধে আমরা জিতবো কিনা। আমিও আক্রান্ত এক সৈনিক হবো কিনা। তবে ফিরবো.... এই অন্তহীন অপেক্ষায় থাকা ভালোবাসার কাছে বুক দিয়ে টেনেও একদিন ঠিকই ফিরবো।" .... কথা হারিয়ে যায় সেই সমস্ত যোদ্ধাদের স্বার্থপরতার উর্ধ্বে উঠে পৃথিবীর প্রাণপ্রতিষ্ঠার কর্মযজ্ঞে সমাজসেবার সীমাহীন প্রচেষ্টার চাক্ষুষ দর্শনে। লেখিকা নাসরিন নাজমা-র "কথা হারানোর জার্নাল" করোনা অতিমারীর সময়ে যারা সমাজসেবার ব্রতী নিয়ে কাজ করে চলেছেন তার ইতিবৃত্ত তুলে ধরেছেন বইটির ছত্রে ছত্রে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন মনীষীদের উদ্ধৃতি তুলে প্রেরণাও যুগিয়েছেন যোদ্ধাদের। লেখিকা নিজেও অতিমারী যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকের ভূমিকায় হাজির ছিলেন। তাই হয়তো তাঁর সংগ্রাম-দর্শন আরও প্রাণবন্ত হয়ে পাঠকের কাছে উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কলকাতা প্রেস ক্লাবে বইটির আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন হল কবি ও শিল্পকলা বিশেষজ্ঞ দেবাশীষ চন্দ, কবি ও বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের প্রথম প্রেস সচিব মোফাখখারুল ইকবাল-এর উপস্থিতিতে। 'অতিমারীর সময়ে যে অভিজ্ঞতা বইয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তাকে শ্রদ্ধা জানানো আমাদের সবার উচিত। একটা প্রফেশনের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাবোধ থাকলে এটা করতে পারে সেই সমস্ত যোদ্ধাদের প্রতি কুর্নিশ জানাই। সেই সঙ্গে লেখিকাকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করবো তাঁর এই মহৎ কাজের জন্য', বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা জানালেন মোফাখখারুল ইকবাল।
বইতরণী ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত এই সংগ্রাহক প্রবন্ধ বইখানি সম্পর্কে পরিশেষে বলা যায়, "যারা বুক পেতে বিষটুকু নিয়েও পরম মমতায় সংকল্প নিয়েছে উপহার দেবে এক মারীহীন নতুন সকাল..."।
*কথা হারানোর জার্নাল/ নাসরিন নাজমা/ বইতরণী ট্রাস্ট/ ২০০ টাকা।*
0 Comments